সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার পর অবশ্যই যে কাজগুলো করতে হবে

আমাদের বাজেট যাদের কম, তারা সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিয়ে থাকি। জেনে হোক বা না জেনে হোক অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিক্রেতা যেভাবে আমাদের কাছে ফোনটি দেয় অমনি ব্যবহার করা শুরু করে দেই। যেটা মোটেই ভালো কাজ নয়। সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার পর যে কাজগুলো অবশ্যই করতে হবে সে সম্পর্কে আলোচনা করব এই আর্টিকেলে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক-
সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার পর অবশ্যই যে কাজগুলো করতে হবে

ক্লিন করা
ব্যবহৃত ফোন এর ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ব্যাপার এটি ব্র‍্যান্ড নিউ ফোনের মত দেখতে হবেনা। অধিকাংশ ব্যবহৃত ফোন ক্লিন না থাকা বা তাতে ডাস্ট স্ক্র্যাচ থাকা স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার পর অবশ্যই উচিত ক্লিন করে নেওয়া।

সবচেয়ে ভালো হয় যদি ফোনে ইতিমধ্যে থাকা স্ক্রিন প্রটেক্টর পরিবর্তন করে নেওয়া হয় কারণ এর স্থায়িত্ব সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকা স্বাভাবিক। এছাড়া যেকোনো কারণে ফোন হাত থেকে পড়ে গিয়ে নষ্ট হওয়ার মত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ক্ষতি কিছুটা হলেও কমাতে কিনে নিতে পারেন ফোনের জন্য একটি কভার। বলে রাখা ভালো সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার পর ফোনে যদি কোনো ধরনের সিম কার্ড থাকে বা মেমোরি কার্ড থাকে তা খুলে ফেলা উত্তম ও তা উক্ত ফোনের মালিকের কাছে হস্তান্তর করে দিন।

এসব রিমুভ করে দিতে বলা। যদিও বা কোনো কারণে এসব পুরোনো আইডি ফোনে থেকেই যায়, তবে আগে এসব আইডি রিমুভ করে নিন। এরপর স্বাভাবিক নিয়মে আপনার অ্যান্ড্রয়েড রিসেট করতে পারবেন।

বলে রাখা ভালো সেকেন্ড হ্যান্ড ফোনে ইতিমধ্যে লগিন করা থাকা গুগল একাউন্ট কিংবা অ্যাপল আইডি লগআউট না করে যদি ফোন রিসেট করেন, তবে রিসেট এর পর পুনরায় উক্ত একাউন্টসমূহে লগিন করতে হবে। আর যদি উক্ত একাউন্টের লগিন ইনফো না থাকে, তবে রিসেট এর পর একাউন্টে লগিন করা নিয়ে ঝামেলা পড়ে যাবেন।

রিসেট করা
কারো কাছ থেকে তার ব্যবহৃত ফোন কেনার আগে অবশ্যই উচিত উক্ত ফোনে থাকা তার যাবতীয় একাউন্ট, যেমন Google account, Facebook account ডিলিট করে দেওয়া। এরপর আপনি আপনার প্রয়োজন মত যে কোন একাউন্ট লগইন করুন।

প্রয়োজনীয় এক্সেসরিজ কেনা
একটি ফোন ঠিকমত ব্যবহারের জন্য চার্জার, হেডফোন, ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ এক্সেসরিজ লাগে। অধিকাংশ সময় সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কিনলে সাথে চার্জার বা হেডফোন ইত্যাদি পাওয়া যায়না। সেক্ষেত্রে সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার পর ডিভাইসের সাথে সামঞ্জস্য রেখে অবশ্যই চার্জার কিনতে ভুলবেন না। অনেকে ফোনের সাথে অডিও শুনতে বা কথা বলতে হেডফোন ব্যবহার করে থাকেন, তারা তাদের প্রয়োজন অনুসারে হেডফোন কিনে নিতে পারেন। হেডফোন কিনে আটা সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত বিষয়।

একাউন্টসমূহ সেটাপ করা
সেকেন্ড হ্যান্ড অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার পর ফোনটি রিসেট করুন, এরপর প্রথম কাজ হচ্ছে ফোনে আপনার গুগল একাউন্টে লগিন করা৷ গুগল একাউন্টে লগিন করার পর অবশ্যই ফাইন্ড মাই ডিভাইস চালু করে রাখুন যাতে হারিয়ে গেলে ফোন খুঁজে পাওয়া সহজ হয়।

বিক্রেতার তথ্য সংরক্ষণ
সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার ক্ষেত্রে ফোনের আগের ব্যবহারকারির তথ্য সংরক্ষণ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আগের ব্যবহারকারি ফোনটি কি কাজে কিভাবে ব্যবহার করেছেন সে সম্পর্কে জানা সম্ভব নয় যার ফলে পরে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। এই জন্য যে দোকান বা যার কাছ থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কিনবেন তার তথ্য অবশ্যই সংরক্ষণ করে রাখবেন। তবে পরিচিতদের কাছ থেকে কোন ফোন নিলে এ কাজ করতে হবে না।

Post a Comment

Previous Post Next Post